ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধ ও এই আইন জনবান্ধব করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘এই আইনটার কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এই আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে। একটা গোষ্ঠী আছে এই আইনটিকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে প্রচার করে। তারা এই আইন নিয়ে জনগণের কাছে যায় না। তারা ওয়াশিংটন ডিসি, ব্রাসেলস এবং জেনেভাতে গিয়ে বলে এই আইনটা খারাপ। তারা এখানে বলে না। কারণ তারা জানে যে, এখানে বললে হালে পানি পাওয়া যাবে না।’
শনিবার বেলা ১১টার দিকে বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন ‘এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ’ এ বৈঠকের আয়োজন করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের কাছে যে সুপারিশমালা পাঠিয়েছে, তাতে আইনটির দুটি ধারা (২১ ও ২৮) পুরোপুরি বাতিল এবং আটটি সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। আলোচনায় প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের টিমের সঙ্গে আমাদের দেশের একটি টিম (লেজিসলেটিভ সচিবকে প্রধান করে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে) করে দেয়া হয়েছে। আলোচনা করে তারা একটি টেকনিক্যাল নোট পাঠিয়েছে।
‘টেকনিক্যাল নোট’-এর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা ২১ ধারা বাতিল করে দিতে বলছে, কিন্তু সেটি আমার পক্ষে সম্ভব না। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের বাস্তবতায় ২১ ধারা প্রয়োজন রয়েছে, যা আলোচনায় উঠে এসেছে। আলোচনায় ওই আইনের অধীনে বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের রক্ষাকবজের কথাও উঠে এসেছে, সেটি অবশ্যই আমরা হাইলাইট করবো।
আলোচকদের উদ্দেশ করে আনিসুল হক বলেন, আপনারা বলতে পারেন- যদি ব্যাখ্যাটি জানেন, তাহলে আইনের মধ্যে আনছেন না কেন? এর উত্তর হলো- যদি সেসব (ব্যাখ্যা) আইনের মধ্যে আনা হয়, তাহলে আইনটি অনেক বড় হয়ে যাবে। সেজন্যই আইনের ব্যাখ্যার বিষয়টি বিচার বিভাগের ওপর দেয়া হয়েছে। এবং আমাদের সৌভাগ্য যে, আজকে এসব ব্যাখ্যার জন্য অন্য কোথাও যেতে হয় না, বই খুললেই পাওয়া যায়। এসবই প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধান্ত।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক