৩০ মে, ২০২৩ ২০:০২

কোনো রাষ্ট্রের সাথে আমাদের খারাপ সম্পর্ক নেই : শিক্ষা উপমন্ত্রী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

কোনো রাষ্ট্রের সাথে আমাদের খারাপ সম্পর্ক নেই : শিক্ষা উপমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রের সাথে আমাদের খারাপ সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ শান্তির কথা বলে কিন্তু তারা অশান্তি চায়। আমরা এজন্য নিরপেক্ষ, আমরা শান্তি চাই।

মঙ্গলবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তির দর্শন কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হয় দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি সরকারের অপরাজনীতি, সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই শান্তির দর্শন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছে বাংলাদেশ তখন যুদ্ধ বন্ধ করতে শান্তির আহ্বান করেছেন।

তিনি বলেন, আজ বিশ্বের অর্থনীতি সমরাস্ত্রের উপর নির্ভর করছে। আজকাল বড় বড় অস্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলো যুদ্ধের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। অস্ত্র ব্যবসায়ীরা চায় যুদ্ধ হোক। যুদ্ধ হলে তারা লাভবান। যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ব অর্থনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আজকাল। কিছু দেশ যুদ্ধের সময় ডলার, খাদ্য, অস্ত্র নিয়ে পড়েছে। যুদ্ধ শুরু হলে তাদের লাভ বেশি। তারা শান্তির কথা বলে পরিস্থিতিকে আরও অশান্তি করে তুলছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে একটা গোষ্ঠী আজকে অশান্তি চায়। গণতন্ত্রের কথা বলে দেশকে অশান্ত করে তুলছে। তারা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চাই। অস্ত্র ব্যবসায়ীর কিছু এজেন্ট আমাদের দেশেও আছে। তারা বিভিন্ন এনজিও তৈরি করে তথাকথিত শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে। শান্তিতে নোবেল পেয়ে ড. ইউনূস অনেক বড় কিছু হয়ে যাননি বরং এজন্য নোবেল পুরস্কারের উপর বিতৃষ্ণা হয়ে জুলিও-কুরি শান্তি পুরস্কার চালু করে।

মহিবুল হাসান বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কারকে অশান্তির কাজে লাগাতে যুদ্ধবাজ আমেরিকার রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিনটনের সাথে গাঁট বেঁধেছেন ড. ইউনূস। বিএনপি-জামায়াত জোট বাইডেন প্রশাসনের তদবির করতে (লবিস্ট) নিয়োগ দিয়েছে, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নেও। তাদের পথ দেখাচ্ছেন এবং এদের তদবিরকে ভিত্তি দিচ্ছেন তিনি। ড. ইউনূস অনেক জায়গায় বলেছেন, জীবনের শেষে এসেও প্রতিশোধ নেবেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বিদেশিরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস এবং প্রবন্ধের ওপর আলোকপাত করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম। সহকারী অধ্যাপক মো. মিনহাজ উদ্দীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এবং সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর