প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, ইতিহাসে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে। দেশবাসী চিরকাল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে সমগ্র দেশবাসীর লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজ বাংলাদেশকে নতুন করে সাজানোর যে সুযোগ এসেছে জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা তা ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর।
তিনি বলেন, জনগণের সকল অধিকার আদায়ে বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে আমাদের চলা হবে অবিরত। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে, এই সরকারকে গণফোরামের পক্ষ থেকে শুধু সমর্থন নয় পরিপূর্ণভাবে সহায়তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত হওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কার করে পুনর্গঠন করবে।
বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে এবং গণফোরামকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আজ বিকাল ৫টায় গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয় গণফোরামের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সম্পাদক এম.এ. হামিদ, ছাত্র সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা জেলা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান খোকন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম রুপু, কামাল উদ্দিন সুমন, ইমাম হোসেন, কবিরুজ্জামান, মাহফুজুর রহমান মাসুম, নিজাম উদ্দিন, এশেক আলী আশিক, শেখ শহিদুল ইসলাম, রিয়াদ হোসেন, ফারুক হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত