বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, পদত্যাগ নিয়ে নতুন করে প্রসঙ্গ তোলাটা সন্দেহজনক। এটা একটা দুশ্চিন্তার বিষয় যে কেন হচ্ছে এটা? এটা সরকারের দায়িত্ব খোঁজ করা এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা টিভিতে দেখেছি রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে পাশে নিয়ে বলেছেন- শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি (রাষ্ট্রপ্রতি) সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রপ্রতি নিজে যখন জাতির সামনে তিন বাহিনীর প্রধানকে পাশে দাঁড় করিয়ে এমন কথা বলেন- তারপর এ নিয়ে আর কোনও কথা থাকে? আর তো কোনও কথা থাকে না। তারপরে দেখলাম, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেছেন, ‘মা পদত্যাগ করেননি’। আবার শেখ হাসিনার এক টেলিফোন কনভারসেশনে আমরা শুনলাম, যেখানে তিনি (শেখ হাসিনা) নিজে বলেছেন, ‘যেভাবে পদত্যাগ করার কথা আমি সেভাবে পদত্যাগ করি নাই।’ অর্থাৎ পদত্যাগ করেছেন তিনি। কিন্তু যেভাবে করার কথা ওইভাবে করেননি; তাই তো? তাহলে পদত্যাগ না করার প্রশ্নতো থাকছে না। পদত্যাগ তো হয়েছে। আর যিনি পালিয়ে যান, তার পদত্যাগ করা বা না করায় কী আসে যায়। তিনি তো পলাতক।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের দ্রব্যমূল্যের যে অস্থিতিশীল অবস্থা এবং ক্রমবর্ধমান যে প্রবৃদ্ধি, আমি মনে করি- এটা সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, তারা স্থায়ী বা অস্থায়ী এটা কোনও কথা না। তাদের দায়িত্ব হলো জনগণের স্বস্তি নিশ্চিত করা। কাজেই আমরা অনুরোধ করবো সরকারের কাছে, খুব দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে মানুষের জীবনে স্বস্তি আসে। জিনিসপত্রের দাম যেন স্থিতিশীল হয়।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জানিপপের চেয়ারম্যান প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত