অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দ্রুত নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বেনিফিশিয়ারিরা সুকৌশলে সরকার ও রাষ্ট্রকে সঙ্কটে ফেলে সংস্কার, নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথকে রুদ্ধ করতে তৎপর। এমন কোনো কাজ করা উচিৎ হবে না, যাতে ছাত্র-গণ বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা পদদলিত হয়।
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের গবড়াকুড়া গ্রামে জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রিন্স।
মতবিনিময় সভায় জনসাধারণের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রিন্স বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার যে কোনো চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধ থেকে নস্যাৎ করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে হত্যা, গুম, দমন, নিপীড়ন চালিয়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণ এবং দুর্নীতি, লুটপাট করে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। এই গণশত্রুদের রক্ষা নাই, অবশ্যই তাদের বিচার করতে হবে। এদের বিচার না হলে এরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করতেই থাকবে।
এখন পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অপকর্মের হোতাদের আটক না করায় সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা এখন নিজেরা অপকর্ম করে বিএনপির ওপর মিথ্যা কালিমা লেপন করছে। জনগণ এই গণহত্যাকারী গণশত্রুদের দেখলে ফুসে উঠলে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ জনসাধারণের কাছে রাজনীতিকে অবৈধ পথে শর্টকাটে সম্পদের মালিক হবার প্লাটফরম হিসেবে তুলে ধরেছে। কিন্তু রাজনীতি জনকল্যাণ ও সমাজ সেবার সর্বোচ্চ প্লাটফরম।
তিনি বলেন, বিএনপির কেউ আপরাজনীতি বা অপকর্মের সাথে জড়িত হলে দল তার দায় নিচ্ছে না এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করছে না।
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জনগণের রায়ে বিএনপি জয়ী হয়ে গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।
এ সময় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবু হাসনাত বদরুল কবির, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আলমগীর আলম বিপ্লব, বিএনপি নেতা অধ্যাপক মেহেবুবুর রহমান মুকুল, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, শামসুল আলম শামস, তাজুল ইসলাম, আবদুল লতিফ, গোলাম মোস্তফা, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি তারিকুল ইসলাম চঞ্চল, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মালেক, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি তারিকুল ইসলাম চঞ্চল, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মালেক, জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আকবর আলী, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন, পৌর ছাত্র দলের আহ্বায়ক নুরে আলম জনি, সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত