বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার (৪ নভেম্বর)। তিনি একাধারে রাজনৈতিক নেতা ও উন্নয়নকর্মী ছিলেন।
তরিকুল ইসলাম ১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে যশোর এমএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ১৯৭০ সালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগদান করেন তরিকুল ইসলাম। সেখান থেকে প্রথমে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল পরে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন তিনি।
বিএনপির প্রথম আহ্বায়ক কমিটির ৭৬ সদস্যের অন্যতম ছিলেন তিনি। দলের যুগ্ম মহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, ভাইস চেয়ারম্যান ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তরিকুল ইসলাম। ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপি সরকার গঠন করলে পর্যায়ক্রমে সমাজকল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, খাদ্য, তথ্য, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তরিকুল ইসলামের অবদান অবিস্মরণীয়। তরিকুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবর জিয়ারত ও স্মরণসভা, এতিমখানা-মাদ্রাসায় খাবার ও বস্ত্র বিতরণসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যশোর জেলা ও স্থানীয় বিএনপি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ