দেশ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তরুণদের মতামতের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তারা বলেন, ফ্যাসিবাদ হঠাতে হবে সবখান থেকেই। ছাত্র সমাজ আগেও সক্রিয় ছিল এখনো আছে।
আজ বিকালে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত 'রোড টু ডেমোক্রেসি' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
দেবজিত সাহার সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি ববি হাজ্জাজ, ডা. জিয়াউল ইসলাম মুন্না, সাংবাদিক আতাউর রহমান কাবুল, শিক্ষাবিদ মো. তৈয়বুর রহমান, লেখক অ্যাক্টিভিস্ট শান কবির, অ্যাডভোকেট এক্টিভিস্ট তাওসীফ আকিব খান প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, “আমি” এবং “আমার” এই শব্দ দুটোকে যদি কবর দিতে পারি তাহলে সার্বিক উন্নতি সম্ভব। কর্মসংস্থান না থাকায় বাইরে চলে যায় ছাত্ররা। ক্যারিয়ারের নিশ্চয়তা বন্ধ রয়েছে দেশে। এ ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশন নেওয়া প্রয়োজন এক্সপার্টদের থেকে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা খুব জরুরি মন্তব্য করে বক্তারা আরও বলেন, ৫ তারিখের বিপ্লবের পর দ্রুত নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সামগ্রিক সবার চেষ্টায় দেশে পরিবর্তন এসেছে। আগে দেশ তারপর দল।
প্রশাসনে সাড়ে দশ লাখ আওয়ামী লীগের লোক নিয়োগ করা হয়েছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, এই পাহাড় সমান মানুষকে নেভিগেট করাটা একটু টাফ হবে। হাসিনা এ দিক থেকে এখনও সফল। সে এমন ভাবে লোক নিয়োগ করেছে যাতে চলে যাওয়ার পরেও প্রশাসন তার প্রতি এখনও লয়াল। জেন ওয়াই, জেন জি এবং জেন আলফাই জাতির ভবিষৎ। তাদেরকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। দেশ প্রেম জাগ্রত করতে হবে, দেশ সবার আগে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন