গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড নাশকতার অংশ কিনা সেটি রাষ্ট্রের সমস্ত শক্তি দিয়ে তদন্ত করতে হবে। এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে গণসংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক গণসংলাপের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন কুমিল্লা জেলা কমিটি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমাদের এমন একটি ক্ষমতা কাঠামো দরকার, যেখানে ভারসাম্য ও জবাবদিহিতা থাকবে। কিন্তু আমরা বিগত সময়ে দেখেছি, সংবিধানের ঊর্ধ্বেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা। তখন কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। জবাবদিহিতাহীন ক্ষমতার পথ ধরেই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ৫৩ বছরে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি, বরং দেশ উল্টো পথে চলেছে। ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করতে ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আত্মাহুতি দিয়েছে। ছাত্র-জনতা, শ্রমজীবী মানুষ শহিদ হয়েছে, অন্ধত্ববরণ করেছে, আহত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক এআত্মাহুতির দায় আমাদের বহন করতে হবে। তাদের ঋণ শোধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক ইমরাদ জুলকারনাইন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহের হোসেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজসহ অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ