খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতিতে সন্যাসীনিদের ধর্ষণ করার প্রথা বহু প্রচলিত। চার্চের এই অনাচার ঢাকতেই ইদানীং সমকামী যৌনাচারের সপক্ষে প্রচার করছেন পোপ। সাম্প্রতিক খ্রিস্টান নিগ্রহ সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যৌথ সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন।
সম্প্রতি হরিয়ানার হিসারে চার্চে ধ্বংসলীলা এবং রানাঘাটে বর্ষীয়ান সন্যাসিনী ধর্ষণের ব্যাপারে যাবতীয় অভিযোগ ঝেড়ে ফেলল ভিএইচপি।
আজ সংগঠনের পক্ষে সুরেন্দ্র জৈন জানান, হিসারে গির্জার ত্রিসীমানায় কোনও খ্রিস্টান পরিবারের বাস নেই। তা সত্বেও ওই জায়গায় গির্জা নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ধর্মান্তকরণ। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, 'ভ্যাটিকান সিটিতে হনুমান মন্দির তৈরি করার অনুমতি কি পোপ দেবেন?' তাঁর দাবি, জোর করে ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে অতীতে চার্চ কর্তৃপক্ষকে সাবধান করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সতর্কবাণী না শোনারই খেসারত দিয়েছে চার্চ।
নদিয়ায় বৃদ্ধা মাদার সুপিরিয়রের শ্লীলতাহানি সম্পর্কে সুরেন্দ্র জৈনের বক্তব্য, উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিষয়টিতে রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে। তাঁর মতে, ঘটনাটি গুরুতর অপরাধ হিসেবেই দেখা উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ক্রিস্টান সংস্কৃতিতে সন্যাসীনিদের শ্লীলতাহানির প্রথা রয়েছে। এই রেওয়াজ হিন্দু ধর্মে নেই।
সুরেন্দ্রর আরও দাবি, 'পাঁচ বছরে ৫০০০ যৌন হেনস্থার অভিযোগ পায় ভ্যাটিকান। এই কারণে সমকামী যৌনতার সপক্ষে পোপ প্রচার করছেন।' শুধু তাই নয়, তাঁর মতে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ আসলে ছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। ধর্মীয় কারণেই এংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ভারতীয় সৈন্যরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ মার্চ ১৫/ সালাহ উদ্দীন