বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে স্লিম হওয়ার প্রবনতা বেড়েই চলেছে। এতে যেমন মানুুষের সৌন্দর্য বাড়ে তেমনি নানা ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। তবে অতি স্লিম বা ক্ষীনকায় দেহের অধিকারীদের জন্য এবার অপেক্ষা করছে অশনি সংকেত। স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রশ্নে ফ্যাশন জগতে অতিরিক্ত ক্ষীণদেহী মডেলদের নিষিদ্ধ করতে পারে ফ্রান্স।
ফ্যাশন জগতের তীর্থস্থান প্যারিসে ক্যাটওয়াকে অংশ নেওয়া অতিরিক্ত ক্ষীণ দেহের মডেলদের নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। সম্প্রতি ফরাসি পার্লামেন্টে উত্থাপিত একটি বিলে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রশ্নে এমন মডেলদের র্যাম্পে নিষিদ্ধ করা, ফ্যাশন এজেন্সিকে জরিমানা করাসহ সংশ্লিষ্টদের জেলে পাঠানোরও সুপারিশ করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সরকার হয়তো এই বিলের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাহিসোল তুহাইন বলেন, ‘ফ্যাশন মডেলদের ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করা এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত কম বয়সী নারীদের জন্য এটি বলা প্রয়োজন। যারা মডেলদের সুন্দরের আদর্শ হিসেবে দেখে।’
স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রশ্নে অতিরিক্ত ক্ষীণ দেহের মডেলদের নিরুৎসাহিত করতে পার্লামেন্ট এই বিলটি পাস করলে দুনিয়াজুড়ে ফ্যাশন শিল্পে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত ক্ষীণ দেহের মডেলদের র্যাম্প ও বিজ্ঞাপনে নিষিদ্ধ করলেও ফ্যাশন সচেতন ফ্রান্স এ নিয়ে সমালোচকদের প্রশ্নের মুখে রয়েছে। ইতালি, স্পেন ও ইসরায়েল ২০১৩ সালের শুরুতেই আইন করে অতিরিক্ত ক্ষীণ দেহের মডেলদের ফ্যাশন জগতে নিষিদ্ধ করেছে।
উল্লেখ্য, ফ্যাশন সচেতন হতে গিয়ে খেয়ে না-খেয়ে ক্ষীণদেহী হতে চাওয়া ফ্রান্সে একটি সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। অ্যনোরেক্সিয়া বা ক্ষুধামন্দা অল্পবয়সীদের মধ্যে একটা সাধারণ রোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে। ২০০৭ সালে ক্ষুধামন্দার বিষয়ে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য ছবি তোলার কিছুক্ষণ পরই মারা যান ইসাবেলে কারো নামের এক মডেল। ২৮ বছর বয়সী ওই নারী মডেল নিজেই অ্যানোরেক্সিয়ায় ভুগছিলেন। দ্য গার্ডিয়ান।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ মার্চ, ২০১৫/ রোকেয়া।