দাদা ভালবেসে নাতির নাম দিয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন। কিন্তু এই নাম তার জন্য কতটা ভোগান্তি বয়ে আনতে পারে তা হয়তো তিনি একবারও ভাবেননি। আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো নাতির জীবনে। ভারতের ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের বাসিন্দা সাদ্দাম একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আক্ষেপের সুরে জানান, স্কুল ও কলেজ জীবন ঠিকই ছিল। নাম নিয়ে কোন সমস্যার মুখে পড়তেই হয়নি তাকে। কেটে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনও। নুরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হওয়ার পর যখন চাকরির খোঁজে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, তখনই বুঝতে পারলেন এই নামের কত জ্বালা।
এই নামের কারণে ৪০ বার তাঁর চাকরির আবেদন বাতিল হয়ে গেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের নামে তার নামই হওয়ায় আবেদন বাতিল হয়ে যায়। তবে বসে থাকেনি সাদ্দাম। সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট সব কিছুতেই নাম পরিবর্তন হয়। কিন্তু এরপরও গেরো কাটছে সাদ্দামের। কারণ নুরুল বিশ্ববিদ্যালয় তাকে দেওয়া সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তন করতে অস্বীকার করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি অবশ্য ফেলে দেওয়ার মতো নয়। তাদের মতে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তন না হলে তারা কোন ভাবেই সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তন করবেন না।
হতাশ হয়ে সাদ্দাম ঝাড়খণ্ড আদালতের দ্বারস্থ হয়। আগামী ৫ মে এই মামলার শুনানি। এদিকে, নাতির এই হয়রানি দেখে দাদা এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন। নিজের ‘নির্বুদ্ধিতা’র কারণেই যে নাতির এই দুর্দশা, আক্ষেপের সুরে জানান বৃদ্ধ।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব