শিকারি বিড়ালের যেমন গোঁফ দেখলেই চেনা যায়, সিনেমার ভিলেনদেরও ব্যাপারটাও কিন্তু সেই রকম। মানে পর্দায় তাদের ব্যবহার দেখলেই দর্শক ঠিক বুঝে যান, এরাই সেই লোক, যারা নায়ক বা নায়িকার জীবন এলোমেলো করে ছেড়ে দেবে।
বেশিরভাগ সিনেমাতেই ভিলেনদের এমন চেহারা প্রদান করা হয়, যা যথার্থই ‘ভিলেন-সুলভ’। আর এই ভিলেন-সুলভতা প্রয়োগ করতে তাদের যে মেকআপ নিতে হয়, তা অনেক সময়েই বিপদের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। হলিউডে ভিলেন চরিত্র কতটা বিচিত্রদর্শন হতে পারে, তার প্রমাণ রেখেছে কল্পবিজ্ঞান বা হরর ছবিগুলি। হলিউডে জ্যাক নিকলসন থেকে শুরু করে হিথ লেজার শুধুমাত্র ‘জোকার’-এর ভূমিকা নেভাতেই কতখানি মেকআপ চড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন, ভাবলে মাথা ঘুরে যাবে।
সম্প্রতি টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞান বিভাগের একটি জার্নালে বেশ কিছু চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ অভিনেতারা অতি দ্রুত চর্মরোগের শিকার হন। এবং কিছু বিশেষ চর্মরোগই তাদের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে দেখা দেয়। হলিউডের সেরা কয়েকজন ভিলেনের উপরে সমীক্ষা চালিয়ে তারা দেখেছেন ত্বক-সংক্রান্ত এই অসুখগুলি নিয়মিতভাবেই অভিনেতদের মধ্যে দেখা গিয়েছে-
১। অ্যালোপেসিয়া বা চুল উঠে যাওয়া।
২। চেখের তলায় কালি, যা অনেক সময়ে খুব ঘোরতর আকার নেয়।
৩। মুখের চামড়ায় কুঞ্চন।
৪। মুখে দাগ দেখা দেওয়া।
৫। নাক-কান-চোখের পাতা ইত্যাদির বিকৃতি।
অনেক সময় চরিত্রের প্রয়োজনে সারা গায়েও মেকআপ করতে হয় খল-অভিনেতাদের। সেক্ষেত্রে ১২-১৪ ঘণ্টা এই মেকআপে থেকে চড়া আলোর মধ্যে শ্যুটিং করে যেতে হয় তাদের। ত্বকের আর দোষ দিয়ে কি হবে তাহলে।
বিডি প্রতিদিন/ ১১ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৬