বাবার মৃত্যু হয়েছে গত বছরের বিখ্যাত ৮ নভেম্বরের আগে। তখনও নোট বাতিলের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই বাবাও মেয়েদের বলে যাননি কী গচ্ছিত রয়েছে তাঁর লকারে। অঘটনটা ঘটল ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বরের পর। যখন জানিয়ে দেওয়া হল, আর কোনও নাগরিকের পুরনো নোট গ্রহণ করা হবে না। তখনই মৃত বাবার সম্পত্তির কথা জানতে পারলেন ফরিদাবাদের দুই বোন সবিতা ও নিধি গুপ্তা। মার্চ মাসের ছয় তারিখ খোলা হয় ব্যাংকের সেই লকার। যখন সবিতার বোন নিধি গুপ্তা আইনিভাবে ঘোষণা করেন বাবার সম্পত্তির অধিকার তাঁর চাই না।
বোনের অধিকার ছাড়ার পরই বাবার লকার খোলার অধিকার পান সবিতা। কিন্তু তা খুলেই মাথায় হাত পড়ে তাঁর। সেখানে রয়েছে নগদ ৮৩,হাজার টাকা। কিন্তু সবই পুরনো নোট। এখন কোথাও তার কোনও মূল্য নেই। কারণ সাধারণ নাগরিকদের জন্য নোট বদলানোর সময়সীমা এরইমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। আর কোনও ব্যাংকে জমা বা বদল করা যাবে না এই নোটগুলি। তাও রিজার্ভ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফরিদাবাদের মহিলা। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাংকের আধিকারিকরা পুরনো নোট নিতে অস্বীকার করেন।
শেষমেশ দেশের শীর্ষ আদালতের দরবারে অভিযোগ জানান সবিতা। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার হয় সেই মামলার শুনানি হয়। সবিতার আইনজীবী দাবি করেন, পুরনো নোট তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। তাও অনেক পরে তিনি এর কথা জানতে পেরেছেন। এই ঘটনায় তো তাঁর কোনও দোষ নেই। তিনি পরিস্থিতির শিকার মাত্র। এরপর সর্বোচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যদি এমন কোনও সুযোগ থাকে (পুরনো নোট জমা ও বদলের জন্য), তাহলে একজন নয় সবাইকেই সেই সুযোগ দেওয়া উচিত। খুব শিগগিরিই ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। সবিতার মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই উঠেছে প্রশ্ন। তাহলে কি ফের মিলতে পারে নোট বদলের সুযোগ?
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন