২৯ মে, ২০১৭ ০৬:২৬

স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সই জাল করে কিডনি বিক্রি!

অনলাইন ডেস্ক

স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সই জাল করে কিডনি বিক্রি!

স্বাস্থ্যকর্তার সই জাল করে কিডনি প্রতিস্থাপনের চেষ্টা ভারতের এক হাসপাতালে! যদিও স্বাস্থ্যকর্তার স্বাক্ষরের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হাতের ‘টান’ ঠিকঠাক না হওয়ায় জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। শেষমেশ কিডনি প্রতিস্থাপন আর হয়নি। শুরু হয়েছে তদন্ত।

দেশটির স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, গত জানুয়ারিতে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং স্বাস্থ্যভবনের ‘নো-অবজেকশন’ প্রশংসাপত্রের স্বাক্ষর দেখে সন্দেহ হয় এক কর্মকর্তার। খোঁজখবর করে স্বাস্থ্যকর্তারা জানতে পারেন, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) অর্থাৎ ডিএমই এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত বিভাগের এক কর্মকর্তার সই জাল করে কাগজপত্র জমা পড়েছিল। স্বাক্ষর জাল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতেই অভিযোগ দায়ের করা হয় ভারতের সেক্টর ফাইভের ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়।

স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, ভারতের আলিপুরের ওই হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রস্তুতি নেন শহরেরই ৬০ বছর বয়সি এক বাসিন্দা। ওই ব্যক্তিকে কিডনি দেওয়ার কথা ছিল সোনারপুরের ৩৮ বছরের এক যুবকের। সেইমতো কাজও চলছিল। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির পর চূড়ান্ত অনুমতি দেওয়ার মুহূর্তে তত্কালীন ডিএমই সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরে ‘গলদ’ চোখে পড়ে স্বাস্থ্যভবনের এক কর্মকর্তার। সই পরখ করে সুশান্তও বুঝে যান, তাঁর স্বাক্ষর নকল করে যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি হয়েছে। তারপরই পুলিশে অভিযোগ করা হয় স্বাস্থ্যভবন থেকে।

স্বাস্থ্যভবনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘ভিন রাজ্য থেকে আসা একাধিক কিডনি প্রতিস্থাপনের ঘটনায় জাল কাগজপত্র মিলেছে। তবে শহরের বাসিন্দার এমন ঘটনা মনে পড়ছে না। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’

দেশটির অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত বিভাগের সিনিয়র নোডাল অফিসার তথা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (প্রশাসন) জানান, ‘‘এ ধরনের বিষয় নজরে আসা মাত্রই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রতিটি প্রতিস্থাপনেই সরকারি বিধি মানার ক্ষেত্রে নজরদারি রয়েছে।’’ সূত্র: এবেলা।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর