বিশ্বের অনেক দেশেই নারীদের পোশাক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। অনেক ক্ষেত্রে পোশাকের কারণে চাকরিও হারাতে হচ্ছে নারী কর্মীদের। সম্প্রতি একটি চাকরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্মক্ষেত্রে অন্তর্বাস পরে আসতে বাধ্যতামূলক করায়- এটাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ব্যাখ্যা করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ক্রিস্টিনা শেল (২৫) নামের এক নারী।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার অ্যালবার্টার ক্রিস্টিনা শেল অসোয়োস গলফক্লাবে ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির নতুন পোশাক পরিধান রীতি অনুযায়ী টেবিলের কাছে অপেক্ষা করার সময়ে তাদের অবশ্যই অন্তর্বাস বা আন্ডারশার্ট পরতে হবে। আর সেই রীতিই মানতে অস্বীকৃতি জানালেন শেল।
এ ব্যাপারে শেল জানান, এটি লিঙ্গভিত্তিক আচরণ আর সেজন্যই বিষয়টি মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট। যেহেতু পুরুষদের পোশাকরীতিতে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। অন্তর্বাসবিহীন থাকা যে কোন আলোচনার বিষয় হতে পারে সেটা কখনোই রেস্টুরেন্টের নতুন পোশাকরীতি পড়ার আগে বিশ্বাসই করতে পারিনি তিনি।
কর্মক্ষেত্রে অন্তর্বাস পরা নিয়ে আলবার্তায় এক নারী সাথে যা ঘটল, তা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। ওই নারী ভালোই কাজ করেন। কাজের দক্ষতা নিয়ে কোন প্রশ্নই ওঠে না। অন্যান্য সহকর্মীদের তুলনায় যথেষ্টই দক্ষ তিনি। অফিসেও আসেন নির্দিষ্ট সময়ে। নিয়মকানুনও মানেন যথেষ্টই। কিন্তু সমস্যা এক জায়গাতেই। অন্তর্বাস পরতে ভালো লাগে না তার। ওই নারীর দাবি, অন্তর্বাস পরলেই অস্বস্তি হয়। অস্বস্তি লাগলে কি কোন কাজে মন লাগে? তাই হাজারও ভাবনাচিন্তার পর অন্তর্বাস পরাই ছেড়ে দিয়েছেন ওই নারী। আর এই নিয়ে সমস্যা তৈরি হল অফিসে। অফিসের বস প্রায়ই লক্ষ্য করে ওই নারী পোশাক পরেন ঠিকই। কিন্তু অন্তর্বাস পরেন না তিনি। একদিন যায়, দু’দিন যায়। পোশাকে কোনও পরিবর্তন নেই। অন্তর্বাস ছাড়াই অফিস চলে আসেন ওই নারী। শেষে রেগেমেগে কর্মীকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি, এই অফিসে কাজ করতে গেলে অবশ্যই পরতে হবে অন্তর্বাস। কিন্তু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরিও হারাতে হয় ওই নারীকে! ৷অবশ্য ওই নারীও চুপ করে বসে থাকেননি। দেশটির মানবাধিকার কমিশনে তিনি এর প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার