ক্ষমাই মহৎ গুণ। ক্ষমায় ফোটে ভালোবাসার ফুল। আর ক্ষমার অক্ষমতায় ক্রোধের ভুবনে সব জ্বলেপুড়ে খাক। ক্ষমার ক্ষমতায় বলীয়ান হতে পারলে হয়তো পৃথিবীর সব যুদ্ধ, ঘৃণা, অপ্রেম বিনাশ হয়ে যেতো নিমিষেই। ক্ষমাহীনতার উপসর্গই ভূস্বর্গকে নরক বানানোর আসল কারিগর। তাই যতো ক্ষমাশীল হবে হৃদয়, ততোই পৃথিবীতে ফলবে প্রেম আর পুণ্যের ফসল।
ছোট ভুলের কারণেও আমাদের সম্পর্ক হয়ে ওঠে তিক্ত। তৈরি হয় বিদ্বেষ, ভাঙে বিশ্বাসের বন্ধনও। তাই ছোটো কিংবা বড় ভুল যাইহোক কারো প্রতি বেশিদিন রাগ পুষে রাখা ঠিক নয়। ক্ষণিকের দুনিয়ায় যে ক’টা হাতেগোনা ক্ষণ জীবনে আসে তাকে রাঙানো উচিত সৌন্দর্য আর প্রেমে। সৃজনশীল শ্রদ্ধায় আর মমতায় ঠাসা সম্পর্কে রাঙাতে হয় চারপাশ। তাই আপনার আশপাশের মানুষকে ক্ষমা করে দিন। ক্ষমা মহৎ গুণ, ক্ষমা সুন্দর- এ কথা মনীষীরাও বলে গেছেন। আর আজ ৮ সেপ্টেম্বর সেই ক্ষমা করার দিন।
যুক্তরাষ্ট্র দিবসটি উদযাপন করে থাকে। যেহেতু ক্ষমা মহৎ গুণ তাই চাইলে আমরাও দিবসটি পালন করতে পারি। আর একবার ক্ষমা করে দিলে তা হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও সুখের চাবিকাঠি।
ক্ষমা সম্ভবত একজন মানুষের সবচেয়ে ইতিবাচক গুণ। আর এই গুণটি অর্জন করা কোনো কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়, শুধু দরকার একটুখানি স্বদিচ্ছা। পৃথিবীর সব ধর্মের অন্যতম প্রধান শিক্ষা এই ক্ষমা। সব ধর্মেই বলা হয়েছে মানুষকে ক্ষমা করার কথা।
'ক্ষমা' শব্দটির কিছু আইনি ব্যাখ্যাও আছে। যেমন কোনো দেশের উচ্চ আদালত অপরাধীকে ক্ষমা করার মানে হলো তাকে অপরাধের শাস্তি থেকে মুক্তি দেওয়া। আর এখান থেকেই মূলত ক্ষমা দিবসের উৎপত্তি। ১৯৭৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড আরেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। যেই ক্ষমাকে অত্যন্ত বিতর্কিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। কারণ নিক্সন মার্কিন ইতিহাসের কলঙ্কজনক ঘটনা ওয়াটারগেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সেখানে ক্ষমা দিবসের উৎপত্তি। তবে, যেভাবেই দিবসটির উৎপত্তি হোক না কেন, ক্ষমা সবসময়ই সুন্দর।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল