ডিজিটাল যুগে প্রেমে বাধা হতে পারল না সীমান্তের কাঁটাতার। পাকিস্তানি তরুণীকে অনলাইনে বিয়ে করলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের এক বিজেপি নেতার ছেলে।
সেখানকার জৌনপুরের বিজেপি নেতা তেহসিন শাহিদ তড়িঘড়ি বড় ছেলের বিয়ের বন্দোবস্ত করেছিলেন। কারণ, পাত্রীর মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই দুই পরিবারই চেয়েছিল যাতে তাড়াতাড়ি মুহাম্মদ আব্বাস হায়দার এবং আন্দালিপ জোহরা বিয়েটা সেরে নেন। আগেই ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন আব্বাস। কিন্তু দুই প্রতিবেশী দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক চাপানউতরের মধ্যে চটজলদি ভিসা মেলেনি। তাই শুক্রবার রাতে অনলাইনে বিয়ে সারলেন উত্তরপ্রদেশের মুহাম্মদ আব্বাস এবং লাহোরের বাসিন্দা আন্দালিপ জোহরা। ইমামবাড়ায় উপস্থিত ছিলেন বরযাত্রীরা। আমন্ত্রিত ছিলেন বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাও। অন্যদিকে, লাহোর থেকে উপস্থিত ছিল কনেপক্ষও।
বিজেপি নেতা শাহিদ বড় ছেলের বিয়ে ঠিক করেছিলেন গত বছর। পাত্রীকে নিজেই পছন্দ করেছিলেন। আন্দালিপ জোহরা তার এক আত্মীয়ের মেয়ে। পরিবার-সহ থাকেন লাহোর শহরে। ভিসার জন্য গত বছর আবেদন করলেও এখনও পাননি বিজেপি নেতা এবং তার পরিবার। এর মধ্যে আন্দালিপের মা ইয়াসমিন জায়েদি কয়েক দিন আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাকিস্তানের একটি হাসপাতালে আইসিইউয়ে ভর্তি করানো হয় তাকে। এই পরিস্থিতিতে শাহিদ ঠিক করেন অনলাইনেই ছেলের বিয়ে দেবেন। সেই অনুযায়ী শুরু হয় তোড়জোড়।
শুক্রবার বিজেপি নেতার পুত্রের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক ব্রিজেশ সিং প্রিশুর মতো নেতা। আর বিয়ের পর আব্বাস হায়দার আশা করছেন, এবার ভারতীয় ভিসা পেতে স্ত্রীকে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। স্ত্রী যাতে তাড়াতাড়ি তার কাছে আসতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/একেএ