কুষ্টিয়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার রশীদুজ্জামান দুদুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কোর্টপাড়া কবরস্থানে বড় ভাইয়ের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এর আগে কুষ্টিয়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দানে খন্দকার রশীদুজ্জামান দুদুর শেষ নামাজের জানাজা সম্পন্ন হয়। এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এর আগে শুক্রবার বেলা ২টার দিকে খন্দকার রশীদুজ্জামান দুদুর মরদেহ বহনকারী গাড়ি কুষ্টিয়ায় পৌঁছে। বেলা ১টার দিকে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে পৌঁছে। সেখান থেকে সড়কপথে তার মরদেহ কুষ্টিয়ায় নেওয়া হয়।
সেখানে তার লাশ গ্রহণ করেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রউফ। কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরহুমের স্ত্রী আফরোজা শান্তি, একমাত্র ছেলে খন্দকার রিয়াদ, ছোট মেয়ে ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহানের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আমিনুল হক রতন, প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী ফারুকুজ্জামান, দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেনসহ মরহুমের আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা।
এর আগে সকাল ১০টার পর জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে রশীদুজ্জামানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু নায়েম ইব্রাহিম জানাজা পড়ান। সকাল পৌনে ১০টায় তার লাশ সংসদ ভবনে আনা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইফ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান, ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, কুষ্টিয়ার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, এফবিসিসিআই সভাপতি আকরাম উদ্দিন আহমেদ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান। এছাড়া জানাজায় সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।