ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ) এস এম মাহাফুজুল হক নুরুজ্জামান, ডিআইজি প্রিজন (সদর দপ্তর) টিপু সুলতান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব (জেল-১) সালমা বেগম সদস্য হিসাবে আছেন।
এদিকে ছিনতাই হওয়া তিন জেএমবি সদস্যকে ধরতে প্রত্যেকের জন্য দুই লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহাফুজুল হক নুরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংয়ের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বোমা মেরে ও গুলি করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীনসহ তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় এক পুলিশ সদস্য নিহত ও দুইজন আহত হন।
একটি মামলায় হাজিরার জন্য জেএমবির ওই তিন সদস্যকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হামলাকারীদের বহনকারী গাড়ির চালক সন্দেহে টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে জাকারিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ত্রিশালের ঘটনার পর রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহাফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেন, ত্রিশালের ঘটনার পর ময়মনসিংহ ও আশেপাশের সব জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। তিনি বলেন, ''আমরা টাঙ্গাইল থেকে জাকারিয়া ওরফে মিলন নামে একজনকে ইতোমধ্যে আটক করেছি। সে চার বছর আগে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পায়। তার বিরুদ্ধে জেএমবি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। সকালের ঘটনায় সে জড়িত ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে।''
ছিনিয়ে নেয়া তিন আসামিকে শিগগিরই আবার আটক করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ত্রিশালের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “কারো গাফিলতি আছে কিনা এটা পরে দেখেছি, আপাতত আসামি ধরাই মুখ্য।”