বগুড়ার আদমদিঘিতে সুড়ঙ্গ খনন করে সোনালী ব্যাংকের লুট করে নিয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধার হয়নি। তবে সুড়ঙ্গ পথে পড়ে থাকা ১ লাখ ৭২ হাজার ১০০ টাকা পাওয়া গেছে। এ নিয়ে খোয়া যাওয়া টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০।
এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংক বগুড়ার জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ব্যাংকের টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার শামসুদ্দিন শরীফ ও ক্যাশিয়ার আজাহারুল ইসলামকে বগুড়ায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রয়েছেন ১০ জন।
আটককৃতরা হলেন- ফার্নিচার দোকানের মালিক আশরাফুল ইসলাম, কর্মচারী শহীদ, নজরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মৃদুল, আব্দুল ওয়াহেদ, ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী মিলন, পূর্ণ দেব, ব্যাংকের সাবেক নিরাপত্তারক্ষী রুহুল আমিন ও স্থানীয় ওয়েল্ডিং শ্রমিক আব্দুল লতিফ।
এদিকে, আজ রবিবার রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি খোরশেদ আলমসহ ঊর্ধ্বতন ব্যাংক, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অজ্ঞাতদের আসামি করে আদমদিঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা খোয়া যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বগুড়া সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুস সামাদ জানান, সোনালী ব্যাংক রাজশাহী অঞ্চলের জিএম আফজাল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সোনালী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগের জিএম সুবল চন্দ্র, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাজাহান, রফিকুল ইসলাম এবং বগুড়া অফিসের এজিএম তৈয়মুর রহমান।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মুর্তজা আলীর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (পূর্ব) সৈয়দ আবু সায়েম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থল থেকে হাইড্রলিক জ্যাক, দু'টি গ্যাস মিটার, ড্রিল মেশিন, দু'টি গ্যাস সিলিন্ডার, একটি সেলাইরেঞ্জ ও একটি কর্নি উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার অথবা বৃহস্পতিবার রাতের কোনও এক সময় সোনালী ব্যাংক আদমদিঘি শাখা ভবনের পশ্চিম দেওয়ালের পাশে অবস্থিত বিপ্লব ফার্নিচার মার্ট নামের দোকানের ভেতর থেকে দুর্বৃত্তরা সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভল্ট ভেঙে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। গত শনিবার বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাংক খুলে কার্যক্রম শেষে বিকেল ভল্টে টাকা রাখতে গেলে লুটের ঘটনা জানাজানি হয়।