ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের শিকারের পরিবারকে সহানুভূতি জানাতে নয়, নতুন করে উস্কানি ও সহিংসতার মদদ দিতে সেখানে গিয়েছেন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে আওয়ামী হকার্স লীগ আয়োজিত 'চলমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতির কল্যাণে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই' আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের এ ঘটনায় সমস্ত জাতির বিবেক নাড়া দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। অথচ খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জের এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করছেন। কামরুল বলেন, বিএপনপির ন্যায় বর্তমান সরকার নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের কোন ফরমায়েশি তদন্ত করবেন না। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি এস এম জাকারিয়া হানিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এম এ করিমসহ হকার্স লীগের নেতৃবৃন্দ। খালেদার র্যাবের বিলুপ্তি চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, র্যাবের জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দমনে কঠোর পদক্ষেপে ঈর্ষান্বিত হয়ে র্যাবের বিলুপ্তি চেয়ে তিনি আবারও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করছেন।
খালেদার বিচার প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে বিচারের জন্য খালেদার মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ বিচারও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হবে।