নারায়নগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় চাকরি হারানো নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এম এম রানাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম কে এম মহিউদ্দিন রবিবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মো. মামুনুর রশিদ মণ্ডল তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চান। আদালত শুনানি শেষে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলামের দায়ের করা মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৮ মে একই আদালত রানাকে সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় অবসরে পাঠানো নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও র্যাবের নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানাকে ১৭ মে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
১৬ মে গভীর রাতে গ্রেফতার হন র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেন। দু’দফায় তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।
২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের এবং পরদিন আরও একজনের মৃতদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে।
এ ঘটনায় ২৮ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম।
৪ মে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাবের তিন কর্মকর্তা ওই সাতজনকে অপহরণ ও খুন করেছেন।
সাত খুনের ঘটনার পর র্যাব-১১-এর এই তিন কর্মকর্তাকে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত নেওয়া হয়৷ এরপর তাদের অবসরে পাঠানো হয়। ১১ মে হাইকোর্ট তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন৷