লক্ষ্মীপুরে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে স্থানীয় আবুল কাশেম জেহাদী বাহিনীর সদস্য ও যুবলীগ কর্মী রোমান হোসেনকে গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। গতকাল রবিবার রাতে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেতে তাকে হত্যা করা হয়। আজ সোমবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহত রোমান একই ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় সৌরভ হোসেন, মিঠু, রিয়াজ ও রোমান হোসেন একসঙ্গে চলাফেরা করতো। ৪-৫ দিন আগে ছিনতাইকৃত একটি মোটর সাইকেল নিয়ে রোমানের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল রবিবার রাতে রোমানকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায় তার সহপাঠীরা। এরপর সকালে মদনপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেতে তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, ছিনতাইকৃত একটি মোটর সাইকেল নিয়ে আমার স্বামী রোমানের সঙ্গে তার সহপাঠী সৌরভ, মিঠু ও রিয়াজের বিরোধ চলছিল। রাতে তারা রোমানকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়ার পর সে আর বাড়ি ফিরেনি। সকালে বাড়ির পাশে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে খবর পান বলে জানান তিনি।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু নিহত রোমান হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে দায়ী করে বলেন, রোমান ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল।
স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর হোসেন জানান, রোমান বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী বাহিনীর সদস্য ছিল। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম তা অস্বীকার করেন।
স্থানীয় দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক এসআই ওয়াহিদুজ্জামান বিশ্বাস জানান, রোমানের গলাকাটা লাশ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জন্য হাসপাতার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।