নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর খুন হওয়া সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ খুনের ঘটনায় শামীম ওসমানের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম।
শহীদুল ইসলাম দাবি করেছেন, 'সাত খুনের ঘটনায় শামীম ওসমানের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে তিনি মনে করেন না। বরং একটি গোষ্ঠী শামীম ওসমানকে জড়িয়ে নোংরা রাজনীতি করছে।'
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শহীদুল ইসলাম এসব দাবি করেন।
নজরুল ইসলামের শ্বশুরের দাবি, শামীম ওসমান ও নূর হোসেনের ফোনালাপের রেকর্ড যারা প্রকাশ করেছেন, তারাই এই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত
তিনি প্রশ্নে তোলেন, 'তারা যদি জানেন নূর হোসেন ওই সময় কোথায় কোথায় ছিলেন, তাহলে কেন গ্রেফতার করলেন না?
শহীদুল ইসলাম বলেন, 'আরও কিছু ফোনালাপ ও বক্তব্যের রেকর্ড প্রকাশ পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ঘনিষ্ঠ ও ঠিকাদার আবু সুফিয়ান, ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া, খুনি হিসেবে পরিচিত সেলিম, নূর হোসেনের বডিগার্ড হাসানের ফোনালাপও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে তো কথা হচ্ছে না?'
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, 'এখনো কেন আবু সুফিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? তাহলে এরাই কি ছিল মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থের জোগানদাতা? তাদের কি ওই গোষ্ঠী রক্ষার চেষ্টা করছে?'
নিহত নজরুলের শ্বশুরের দাবি, গত ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত নূর হোসেনের সঙ্গে অনেকবারই শামীম ওসমান কথা বলেছেন। এসব কথাবার্তায় প্রমাণ হয় না শামীম ওসমান নূর হোসেনকে পালাতে সহায়তা করেছেন। বরং প্রমাণিত হয়, যারা রেকর্ডটি প্রকাশ করেছেন, তারাই তাকে পালাতে সহায়তা করেছেন।
নজরুল ইসলামের শ্বশুর বলেন, 'দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘
'যত বড় খুনিই হোক, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে- —প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সে আস্থা আছে বলেও তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়া শেষে শহীদুল ইসলামকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। একপর্যায়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন থেকে চলে যান।