যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিশ্চিত করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হবে।
আজ বৃহষ্পতিবার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী বলেন, 'মানুষ যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করছে। বৃষ্টি দেখলেই আমি ভাবি রাস্তা নষ্ট হবে, যানজট বাড়বে। তারপরও রমজানে রাস্তা ঘাট যানজটমুক্ত রাখতে সামর্থ্য অনুযায়ী সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ও ঈদের ছুটি বাতিল করবো।'
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, 'অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। বর্ষার কারণে এখন বিটুমিনের কাজ করা যাচ্ছে না। তারপরও ইতোমধ্যে সড়কের প্রায় ৭২ কিলোমিটারের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ সমাপ্ত করা হবে।'
অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়ক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'প্রবল ইচ্ছা স্বত্ত্বেও বাজেট স্বল্পতার কারণে অক্সিজেন-হাজাহাজারী সড়কের কাজ শেষ করা যায়নি। এ সড়কের কাজ শেষ করতে নতুন করে প্ল্যানিং কমিটি গঠিত হয়েছে। শীঘ্রই এ প্রকল্পের নতুন করে বরাদ্দ দেয়া হবে।'
কর্ণফুলী টানেল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,'‘বহুল প্রত্যাশিত কর্ণফুলি টানেল নির্মাণের জন্য চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। চীনের সাংহাইয়ের মতো নদীর দুই পাড়ে দু’টি বাণিজ্যিক শহর তোলা হবে।'
মন্ত্রী বলেন, 'চট্টগ্রামে পোর্ট কানেকটিং ফ্লাইওভারের মতো অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে। আমি জানি না এগুলো কেন করা হচ্ছে। এসব ফ্লাইওভারের চেয়ে টানেল-মেট্রো রেল অনেক জরুরী। এগুলো জাতীয় অর্থনীতির জন্য সমৃদ্ধির দ্বার খুলে দিবে।'
তিনি আরও বলেন, 'রাজনীতিবিদরা ভালো মানুষ হলে দেশও ভালো মানুষ দ্বারা পরিচালিত হবে, তাতে দেশ আরো দ্রুত সামনে এগিয়ে যেতো। রাজনীতি ঠিক থাকলে আমরা ঠিক হয়ে যেতাম। কিন্তু রাজনীতিতে এখন সৌজন্যতাবোধ কমে গেছে। যা আছে তা সৌজন্য তোরণ-পোস্টার। শিক্ষকসহ সব ধরণের পেশাজীবীদের নিয়েই নোংরা রাজনীতি চলছে, সবখানেই কোন্দল, মশারীর ভেতর অসংখ্যা মশারী।'