কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বসেই অনলাইনে সক্রিয় ছিলেন ফারাবী শফিউর রহমান ! জামিন পেয়েই গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)'র বিরুদ্ধে কুত্সা রটনা শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রীকেও হুমকী দিয়ে ফেসবুকে সক্রিয় হন বির্তকিত এ জঙ্গি উস্কানিদাতা। ব্লগ ও ফেসবুকে দেশ জাতি ও বিশ্বকে নিয়মিত 'জ্ঞান প্রধানকারী' এ ব্লগার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)'র একজন ফেল করা ছাত্র। চবি'র উপচার্য ড. আনোয়ারুল আজিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, 'ফেল করতে করতে সে (ফারাবী) ছাত্রত্ব হারিয়েছে।'
এদিকে ২০১০ সালে প্রথম হিজবুত তাহরীরের এ সদস্য গ্রেফতার হন সিলেট থেকে। জামিনে বেরিয়ে এসে ২০১৩'র ২৪ ফেব্রুয়ারী ফের গ্রেফতার হন। আবারও জামিন পেয়ে ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোই শুধু নয়, নানাজনকে লাগামহীন হুমকীর পাশাপাশি বহু নারীকে ফেসবুকে যেৌন হয়রানী বা উত্যাক্ত করার অভিযোগও রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনৈক ফেরদেৌসুর রহমানের এ পুত্রের বিরুদ্ধে। চবি'র ছাত্র থাকাকালে শিবিরের নেতা কর্মীদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল লক্ষণীয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র। এদিকে জামিনে মুক্তির পরও ২০-২৫ জন সন্দেহভাজন সহযোগী নিয়ে চলাফেরা করতে তাকে দেখা গেছে।
র্যাব-৭ এর সিও কর্ণেল মিজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, বির্তকিত ফারাবীর অপতত্পতার বিরুদ্ধে র্যাব সচেতন রয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান, ফারাবীর বির্তকিত কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে ফারাবীর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে নির্ভরযোগ্য কয়েকজন ব্লগার জানান, কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানকালেই রহস্যজনক ভাবে ছদ্মনামে ফেসবুক আইডি থেকে রাষ্ট্র বিরোধী প্রচারণাও চালায় ফারাবী। সম্প্রতি অনলাইনে বই বিক্রেতা রকমারী ডটকম ও মুক্তমনা' ব্লগের প্রতিষ্ঠাতাকে হুমকী দেয় ফারাবী।
সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামকে কুপিয়ে হত্যার হুমকী দেন তিনি। এভাবে লাগামহীন হুমকীদাতা ফারাবীর তত্পরতার নেপথ্যে কোন বিশেষ মহল সক্রিয় আছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মাঝে। বিশেষ করে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বসেই তার অনলাইনে দিনের পর দিন সক্রিয় থাকা এবং ফেসবুক আইডিতে অব্যাহতভাবে ধর্ম ও রাষ্ট্র বিরোধী প্রচারণা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নের অনত্ম নেই।