যুবলীগ নেতা মিল্কী হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বুধবার টিপু ঢাকার সিএমএম (চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জাহিদুল ইসলাম টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টিপুকে দশ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। আগামী ২৩ আগস্ট আসামির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে একই মামলায় গত ৬ আগস্ট আবুল মোনায়েম মো. আমিনুল এহসান ওরফে ডিশ বাবুর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
গত বছরের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই বিপণিবিতানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্র দেখে মিল্কির এক সময়ের সহযোগী যুবলীগের আরেক নেতা জাহিদ সিদ্দিকী তারেকসহ ভাড়াটে কিলাররা তাকে হত্যা করে বলে নিশ্চিত হন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় মিল্কির ছোট ভাই রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে গুলশান থানায় এজাহার নামীয় ১১ জন এবং অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরদিনই মামলার এজাহারভুক্ত ১১ আসামির মধ্যে মূল হত্যাকারী বলে চিহ্নিত জাহিদ সিদ্দিকী তারেকসহ ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। ফরচুন হাসপাতাল থেকে গুলশান থানায় নেওয়ার পথে তারেকের সহযোগীরা র্যাবের গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়কালে তারেক ও তার সহযোগী শাহ আলম নিহত হন। বাকি ৬ জন মিল্কি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।