যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব ও তার গাড়িচালক রেজাউল হক সোহেল 'অপহরণ' ঘটনা সম্পর্কে দু' রকমের কথা বলেছেন বলে দাবি করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য দেন।
তিনি জানান, সাড়ে তিন মাস পর নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার এই বিএনপি নেতাকে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের বিভিন্ন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে পুলিশ। মুজিবের বর্ণনায় ওঠে আসা ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন ও তথ্য-উপাত্য যোগাড় ও যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেমায়েতুল ইসলাম মুজিবকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্য যাত্রা করেছেন। প্রথমে তাকে নিয়ে সিলেটের টুকেরবাজার যাওয়ার কথা। মুজিব পুলিশকে বলেছেন, সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
এর আগে বুধবার রাতে মুজিবকে সুনামগঞ্জে নিয়ে আসার পর পুলিশ সুপারের অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার হাজিপাড়ার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশের নজরদারীতে ছিলেন তিনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পূর্বে মুজিবকে দেখতে তার বাসায় যান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও সদস্য কলিম উদ্দিন মিলন। পরে কলিম উদ্দিন মিলনের গাড়িতে করে মুজিবকে পুলিশ সুপারের অফিসে নিয়ে আসা হয়। এসময় নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে মুজিবকে অক্ষত অবস্থায় ফেরৎ পেয়েছি। এ সময় মিলন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদ তার অফিসে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ঘটনাস্থলগুলো মুজিবকে নিয়ে পরিদর্শনের পর দু'এক দিনের মধ্যে তাকে আদালতে তোলা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, মুজিবুর ও গাড়িচালক সোহেলকে পৃথক স্থানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের দু'জনের দেয়া তথ্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক পরিলক্ষিত হয়েছে।
মুজিব অপহরণ হয়েছেন তার এই দাবির সত্যতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, আপতদৃষ্টিতে অনেকগুলো বিষয়ই রহস্যজনক মনে হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানা যাবে।