তীব্র স্রোতে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফেরি বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় শুরু হয়েছে। ৩ টি কেটাইপ ফেরি কোনমতে তিনগুনেরও বেশি সময় ব্যয় করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। এমন পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে অন্য রুট ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। কাওড়াকান্দি ঘাটে প্রায় ৫ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২/৩ দিন ধরে মূল পদ্মা নদীর মাওয়া-চরজানাজাত অংশে তীব্র স্রোতের কারনে এ রুটে টাগ জাহাজ অগ্রদুত সংযোজন করা হয়। এ টাগের সাহায্যে মাওয়ায় ফেরিগুলো ভিড়ছিল। মাওয়া অংশের লৌহজং টার্নিং- এ ডুবোচর দেখা দেয়ায় ফেরিগুলোকে উজানের বদলে ভাটি দিয়ে উপরে উঠতে গিয়ে প্রচন্ড স্রোতের মুখে পড়তে হচ্ছে।
অপরদিকে মূল পদ্মায় ঘূর্নি স্রোতের গতিবেগ আরো বেড়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাওয়ার ৩ নম্বর ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়কসহ বেশ কিছু দোকানঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে ৩ নম্বর রো রো ফেরিঘাট দিয়ে এখনো ফেরি লোড-আনলোড সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে রুটটির ৩ টি রো রো ফেরি বন্ধ রয়েছে।
কাওরাকান্দি ঘাটে পর্যাপ্ত বিশ্রামাগার ও বাথরুম না থাকায় আটকে পড়া শ্রমিকরা অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ডাম্ব ফেরি থোবালের জুনিয়র মাস্টার অফিসার হাসান আহমেদ জগলুল বলেন, নদী এতটাই খরস্রোত যে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না। জাহাজের গতির চেয়ে স্রোতের গতি অনেক গুণ বেশি। আজ একবার মাওয়ায় পৌঁছাতে ৫ ঘন্টা সময় লেগেছে।
বিআইডব্লিউটিএ কাওড়াকান্দি ঘাটের ম্যানেজার আ. সালাম জানান, রো রো ফেরি ঘাট নদী ভাঙ্গনে আক্রান্ত হওয়ায় ও প্রচন্ড স্রোতের কারনে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাত ৮ টায় কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে ফেরী চলাচল শুরু করেছে।