ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু বিএনপির নেতৃতাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি জোট নেত্রী আমাকে বহিষ্কার করতে পারেন কিনা? আমি অন্য একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান। তিনি চরম রাজনৈতিক হতাশা থেকে আমাকে বহিষ্কার করেছেন। কিন্তু আমি আজ থেকে ২০ দলীয় জোট থেকে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করলাম। আগামী মাসে নতুন জোটের ঘোষণা দেবেন বলেও জানান তিনি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্য দলের নেতারাও এতে যোগ দেবে।
আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল রাজমনি ঈশাখাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি সাত দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সরকার এবং ২০ দলীয় জোটে না যাওয়ার ব্যাপারেও ঘোষণা দেন তিনি।
শেখ শওকত হোসেন নিলু বলেন, তার পার্টি মনে করে পূর্ব নির্ধারিত ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বিএনপির নেত্রীর সাক্ষাৎ না করা একটি বড় ধরনের কূটনৈতিক ভুল ছিল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা না করে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ৪০ মিনিট হোটেলের লবিতে বসে থাকলেন। এটা রাজনৈতিক ভুল।
প্রধানমন্ত্রীর ইফতারে যাওয়ার কারণে আপনাকে বহিষ্কার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি রাজনীতিক দল আরেকটি রাজনৈতিক দলের ইফতার পার্টিতে যাবে এটাই রাজনৈতিক শিষ্টাচার। তিনি এটা সঠিক কাজই করেছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, বিএনপি নেত্রী যদি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে ঈদ কার্ড পাঠাতে পারেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি সজীব ওয়াজেদ জয়কে ফুলের তোড়া পাঠাতে পারেন তাহলে কেন সে প্রধানমন্ত্রীর ইফতারে যেতে পারবেন না?
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নেয়া তার চরম ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। যদি বিএনপি জোট অংশ নিতো এবং মনোনয়ন বাণিজ্য না হতো তাহলে ২০০ আসনে জয়ী হয়ে বিএনপি জোট ক্ষমতায় আসতো। বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে কেউ নেই উল্লেখ করে সাবেক এ জোট নেতা বলেন, ২৯ডিসেম্বর দেখা গেল বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে কাজের লোক ছাড়া কেউই নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সেদিন কোথায় ছিলেন?
সরকারের সঙ্গে জোট করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশ্নই আসে না। আবার বিএনপি জোটেও ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই বলে জানান তিনি। বর্তমান সরকারের আইনি ভিত্তি থাকলেও নৈতিকতার ভিত্তি নেই মন্তব্য করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জানান শেখ শওকত হোসেন নিলু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের মহাসচিব আবদুল হাই মন্ডল। এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য মনিরা বেগম, হারুনর রশিদ, মোশারফ হোসেন, জহিরুল হক, আলী আকবর বেগ, বাবুল সর্দার চাখারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।