মুক্তিযুদ্ধের সনদ বাতিল হওয়া চার সচিব বিরুদ্ধে উচ্চতর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন, আমাদের গর্ব করার মতো দুটি জিনিস হলো মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা। এই চারজন আমলা রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা এবং তামাশা করেছেন। শুধু সনদ বাতিলই নয়, এদের বিরুদ্ধে উচ্চতর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিটিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমির এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সনদ বাতিল হওয়া একজন সচিব নাকি প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দিনরাত কাজ করছেন। আর আপনারা আমলারা মজা নেবেন তা হয় না। এদেরকে শক্ত হাতে দেখা দরকার।
'ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে অযোগ্য, সুবিধাবাদী ও অপদার্থ লোকজন রয়েছে, এদেরকে বের করে দিতে হবে' মন্তব্য করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমানের কঠোর সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, এসব লোকজন যখন ঢুকলো তখন কি আপনার অনুমোদন প্রয়োজন হয়নি? আপনি দেখেননি? ভবিষতে এ বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল ও সর্তক হতে হবে। ব্যাংকের পরিচালক কারা হবেন, মন্ত্রীর মামা-ভাগ্নে নাকি যোগ্যরা? এ বিষয় জনগণের সামনে পরিষ্কার হতে হবে।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীয় প্রসঙ্গে আইন বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সংসদ আইন পাস করতে পারে। কিন্তু সেটা যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তাহলে সুপ্রীম কোর্ট বাতিল করতে পারে। যারা এ সংশোধনী নিয়ে আপত্তি করছেন, তারা হরতাল না দিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। তিনি দাবি করেন, ৭২ সালের সংবিধানে যা ছিল ষোড়শ সংবিধানে তাই আনা হয়েছে। কোন পরিবর্তন হয়নি।
বিএনপির হরতাল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, হরতাল ডেকে তারা নিজেরাই ঘরে বসে আছে। আর সরকারি দল আওয়ামী লীগ মাঠে নেমেছে। আসলে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া খোকাকে বাদ দিয়ে কিশোরকে নিয়েছেন। যে কর্মসূচিতে জনগণের বিন্দুমাত্র স্বার্থ থাকে না সেখানে কর্মসূচি কোনো কাজে লাগে না।
সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, হারুন চৌধুরী, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।