ভিসা জটিলতায় ছোট ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারেননি বিএনপি চেয়ারপারসনের বড় ছেলে তারেক রহমান। শনিবার সকালেই ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সংবাদটি তারেক রহমানকে দেওয়া হয়। শুনে বাকরুদ্ধ তারেক কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকেন, এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কোকোর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ তারেক রহমানের ঘনিষ্টজনরা তার বাসায় ভীড় করেন। তবে তারেক রহমান কারো সঙ্গে তেমন কথা বলেননি।
সেখানে উপস্থিত একজন সাবেক ছাত্রদল নেতা বলেন, ভাই হারানো শোকের কোন ভাষা নেই। তিনি বসেই ছিলেন বেশিরভাগ সময়। তবে নামাজের সময় উঠে নামাজ পড়েছেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম কয়সর আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে লন্ডন সময় শনিবার রাত ৭ টায় জানান, এখন পর্যন্ত উনার (তারেক জিয়া) মালয়েশিয়া যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিক ফজল আনসারী সকাল থেকেই তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন। তিনি তার ফেসবুকের ষ্ট্যাটাসে লিখেন - অনেক প্রশ্ন মনের ভেতরে নিয়ে নিজেকে সামলাতে না পেরে সরাসরি চলে যাই আরাফাত রহমানের সবচেয়ে আপনজন, বড় ভাই এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায়। প্রবেশের সাথে সাথেই আদরের ভাইটির জন্য দেখলাম সে কি বুক ফাটা আর্তনাদ! বাকরুদ্ধ হয়ে বসেই রইলাম। সান্তনা দেয়ার মত কোনো একটা বাক্যই গোছাতে পারলাম না।
শনিবার বাদ ইশা যুক্তরাজ্য বিএনপি একটি মিলাদ মাহফিল এবং দোয়ার আয়োজন করে।
আজ রবিবার দুপুরে ইষ্ট লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে একটি গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে তারেক রহমান উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেলেও বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র কোন নেতা মন্তব্য করতে নারাজ।
ভিসা জটিলতার বিষয়টি সিনিয়র একজন নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান। তিনি বলেন, 'তারেক রহমান যেহেতু ইউএন-এর পাসপোর্টধারী তাই মালয়েশিয়া যেতে ভিসা লাগবে। এদিকে মালয়েশিয়া লন্ডন দূতাবাস শনিবার ও রবিবার বন্ধ থাকায় এ নিয়ে কোন প্রক্রিয়া চালানো যায়নি। বিশেষ কোন ব্যবস্থা হলে হয়তো পোর্ট এন্ট্রি নিয়ে আজ রবিবার যেকোন সময় তিনি মালয়েশিয়া যেতে পারেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ জানুয়ারি ২০১৫/আহমেদ