হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আজ বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজা। এতে অংশ নিতে আসা জনতার স্রোত বায়তুল মোকাররম ছাড়িয়ে পুরানা পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
জানাজায় অংশ নিতে বায়তুল মোকাররমে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই। এছাড়া শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সমবেত হয়েছিলেন। জানাযা উপলক্ষ্যে পুলিশের নির্দেশে বায়তুল মোকারমের আশে-পাশে সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রেখেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এর আগে মঙ্গলবার পৌনে ২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স গুলশানে পৌঁছানোর পর কোকোর মরদেহ নিয়ে কফিনটি কার্যালয়ের নিচতলায় রাখা হয়। সন্তানের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন খালেদা জিয়া। সেখানে ভিড় করেছিলেন তার স্বজনেরা। পৌনে ৩টার দিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দিকে রওনা দেয় কোকোর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। রবিবার বাদ জোহর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মসজিদে নাগারায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
কোকোর মরদেহ আনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট কোকোর মরদেহ নিয়ে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর ছাড়ে। একই ফ্লাইটে কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি, তার ২ মেয়ে জাহিয়া ও জাইসা, মামা শামীম এস্কান্দার এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলীও ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ জানুয়ারি ২০১৫/শরীফ