বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টার হরতাল চট্টগ্রামে আজ সকাল থেকে ঢিমেঢালাভাবে শুরু হয়েছে।অন্যদিনের মতো রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচল করছে। হরতালে সহিংসতা ও নাশকতা মোকাবেলায় নগরী ও জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন রয়েছে। হরতালের সমর্থনে সকাল ৭টা পর্যন্ত জোটের নেতাকর্মীদের মিছিল কিংবা পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।
সরেজমিন নগরীর জিইসি মাড়, মুরাদপুর, নিউমার্কেট ও কাজীর দেউড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরুর পর নিরাপত্তা বাহিনী প্রতি ১০ মিনিট পর পর টহল দিচ্ছে। চলছে রিকশা, অটোরিকশা, গণপরিবহনের পাশাপাশি মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত গাড়ি। কর্মজীবী মানুষের যাতায়াতে একটু অসুবিধা হলেও গন্তব্যে পৌঁছছে স্বাভাবিকভাবে। তবে দূরপাল্লার গাড়ি নিরাপত্তা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্বল্পপরিসরে চলছে। বিমান কিংবা ট্রেনের সময়সূচির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বন্দরের কন্টেইনার ওঠানামা চলছে যথানিয়মে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার জানান, নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার মতো তেমন কিছু নেই। তবে হরতালে নাশকতা ও সহিংসতা মোকাবেলায় নগরীতে দুই হাজার অতিরিক্ত পুলিশ ও ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ সহিংসতা সৃষ্টি করতে চাইলে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) একেএম হাফিজ আক্তার জানান, জেলায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বরাবরের মতো স্পর্শকাতর পাঁচটি উপজেলায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া আছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই হরতালের ডাক দেওয়া হয়। ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
বিডি-প্রতিদিন/ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/শরীফ