অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইন্টারনেট, টেলিফোন ও ক্যাবল নেটওয়ার্কের পুন:সংযোগ না দিলে অবিরাম হরতাল-অবরোধের হুমকি দিয়েছে দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আবাসস্থল গুলশানস্থ কার্যালয়ে ইন্টারনেট, টেলিফোন, ক্যাবল নেটওয়ার্কসহ সকল বৈদ্যুতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করা হয়নি। অবিলম্বে এ সমস্ত সংযোগ পুনঃস্থাপন না করা হলে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অবিরাম হরতাল ও অবরোধ অব্যাহত রাখা হবে।
অবরোধের পাশপাশি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকা ৭২ ঘন্টার হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অবৈধ সরকারের পদত্যাগ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
দেশব্যাপী নাশকতার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে ক্ষমতাসীনদের দেওয়া বক্তব্যকে ‘আওয়ামী অপরাজনীতির পুরনো সংস্কৃতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের গ্রেফতার ও তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। কিন্তু বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের পরিকল্পিতভাবে এর জন্য ঢালাওভাবে দায়ী করাকেও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামী করে মামলা করার জন্য সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দলের এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘মনে রাখতে হবে-এক মাঘে শীত যায় না, এই দিন দিন না, আরো দিন আছে।’
দেশ এখন গণতন্ত্রের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর ‘মনোতন্ত্র এবং ইচ্ছাতন্ত্রে’ প্রবেশ করেছে-মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ইচ্ছামত গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে দলীয়করণকৃত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এবং দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংগঠনসমূহের উদ্বিগ্নতা সত্ত্বেও সরকার প্রতিনিয়ত ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পাইকারী হারে হত্যা করছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের এজেন্টারা পেট্রোল বোমা হামলার মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে এর দায়-দায়িত্ব বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ওপর দোষ চাপানোর পুরনো কৌশল অবলম্বন করছে। অত্যন্ত চাতুরতার সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটকে আওয়ামী প্রচার কেন্দ্রে পরিণত করেছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে তিনটার দিকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এরপর শনিবার সকালে টেলিভেশনের ক্যাবল সংযোগ ও ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পরে শনিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে খালেদার কার্যালয়ে বিদ্যুতের পূনঃসংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু টেলিভেশনের ক্যাবল সংযোগ ও ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড এবং টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব