যশোরের মণিরামপুর থেকে পুলিশ দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়। পুলিশ দাবি করেছে পেট্রল বোমা ছুড়তে গিয়ে ট্রাকচাপায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
মণিরামপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল দাবি করেছেন, নিহত দুজন যুবদল কর্মী ছিলেন। তবে নিহদের স্বজনরা দাবি করেছেন, রাতে পুলিশ পরিচয়ে ওই দুজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহতরা হলেন: মণিরামপুর উপজেলার তাহেরপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ইউসুফ ও দুর্গাপুর গ্রামের আতিকের ছেলে লিটন।
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভোররাত চারটা দশ মিনিটে মণিরামপুর থানার এএসআই তাসনিম লাশ দুটি হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্যা খবিউদ্দিন বলেন, ‘সোমবার রাত সোয়া তিনটার দিকে আমরা খবর পাই, যশোর-মণিরামপুর সড়কের বেগারিতলায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, অজ্ঞাত দুই যুবকের মৃতদেহ পড়ে আছে। পাশেই পেট্রলবোমা পড়ে থাকতে দেখি। স্থানীয় লোকজন আমাদের জানায়, ওই দুই যুবক একটি ট্রাকে পেট্রলবোমা ছুড়তে গিয়ে ট্রাকচাপায় মারা গেছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও পুলিশ লাশ দুটি যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
মণিরামপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল বলেন, ‘সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মণিরামপুর কলেজের কাছে একটি গাড়িতে আগুন দেয় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ যুবদল কর্মী ইউসুফ ও লিটনকে আটক করে বলে এলাকাবাসী জানতে পারে। আজ সকালে শুনি, পুলিশ দুজনকে মৃত অবস্থায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।’
তবে নিহতদের স্বজনরা জানান, ইউসুফ কাঁচামালের ব্যবসা করতেন এবং লিটন মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করতেন। তারা কেউই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা