লাইসেন্স ছাড়া ফরমালিন আমদানি, উৎপাদন বা মজুদ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১৫’ সংসদে পাস হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সোমবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে ১৯ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটি বিলটি চূড়ান্ত করে পাসের জন্য সংসদে পাঠায়।
ফর্মালিন হলো ফর্মালডিহাইডের একটি জলীয় দ্রবণ যা টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, কাগজ ও রঙ শিল্প এবং মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। এই দ্রবণ মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা মাছ, শাকসবজি ও ফল দীর্ঘ সময় তাজা দেখাতে ফরমালিন ব্যবহার করেন।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “আইনটি হলে ফরমালিন ব্যবহার ও ব্যবসা কার্যক্রম আইনি কাঠামোর আওতায় আসবে। বর্তমান ও ভবিষ্যতে যে সব কোম্পানি ফরমালিন ও ফরমালিন জাতীয় দ্রব্য বিপণন করবে তাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”
পাসকৃত বিলে বলা হয়, লাইসেন্স ছাড়া ফরমালিন আমদানি, উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ, বিক্রি ও ব্যবহার করা যাবে না। যারা লাইসেন্স পাবেন, তারাও চাওয়া মাত্র কর্তৃপক্ষকে ফরমালিন কেনাবেচার হিসাব দেখাতে বাধ্য থাকবেন।
লাইসেন্স ছাড়া ফরমালিন আমাদনি, উৎপাদন বা মজুদ করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে বিলটিতে। আর লাইসেন্সের শর্ত ভাঙলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
লাইসেন্স ছাড়া ফরমালিন পরিবহন করলে সর্বোচ্চ ২ বছর থেকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ফরমালিন উৎপাদনে ব্যবহার করা যায়- এমন যন্ত্রপাতি রাখলেও দণ্ডের বিধান রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ২ বছর থেকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে ফরমালিন ব্যবহার ও ব্যবসা কার্যক্রম আইনি কাঠামোর আওতায় আসবে। বর্তমান ও ভবিষ্যতে যেসব কোম্পানি ফরমালিন ও ফরমালিন জাতীয় দ্রব্য বিপণন করবে তাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ ফেব্রয়ারি, ২০১৫/মাহবুব