মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায় কার্যকর হচ্ছে আজ। বাকি ছিল শুধু পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ। তবে সাক্ষাতের বিষয়টি এখনও জানে না তাঁর পরিবার।
কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল জানিয়েছেন, কারা কর্তৃপক্ষ এখনো তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাই বাবার (কামারুজ্জামান) সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারেও তাঁরা কিছু জানেন না। আজ সকালে তিনি এসব কথা জানান। এদিকে প্রাণভিক্ষার জন্য কামারুজ্জামান কোনো আবেদন করবেন না বলে জানানোর পর গতকাল শুক্রবারই তাঁর ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি শুরু হয়। তবে সব প্রস্তুতির পরও রায় কার্যকর করা হয়নি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে কামারুজ্জামান বলেছেন, তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। কিন্তু দণ্ড কার্যকর করার জন্য তিনি আরও কিছু সময় চান। নিয়ম অনুসারে তিনি সাত দিন সময় পাবেন বলে দাবি করেন। এদিকে কামারুজ্জামানের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসান ইকবাল বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। তারা জানালে আমরা যাব।’ গত বুধবার সন্ধ্যায় কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছায়।
১৯৭১ সালে শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে ১৪৪ জনকে হত্যা ও নারী নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে আসামিপক্ষ। গত বছরের ৩ নভেম্বর সোহাগপুর হত্যাকাণ্ডের দায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে গত ৫ মার্চ তা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন কামারুজ্জামান। দুই দফা শুনানি পেছানোর পর গত রবিবার আপিল বিভাগে ওই আবেদনের শুনানি হয়। পরে ৬ এপ্রিল দেওয়া রায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ এপ্রিল, ২০১৫/ রোকেয়া।