প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষার ওপর করারোপের সমালোচনা করে সরকার দলীয় এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বাজেটে শিক্ষার ওপর ১০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করা হয়েছে, যা বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরোধী। বাজেট পাসের সময় এ করারোপের সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসারও দাবি জানান তিনি।
জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের আজকের (বুধবার) বৈঠকে প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, দেশে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা এখনো রয়ে গেছে। কর আদায়ের যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ। তবে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যেকোনো ধরনের দুর্নীতি, মুক্ত করতে হবে। আমরা কোনো ধরনের দুর্নীতির কাছে মাথা নত করতে পারবো না।
হানিফ বলেন, সরকারকে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলিতে যতটা সম্ভব বাজেট বাড়াতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে তিনি শিক্ষার ওপর ১০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করা হয়েছে তা প্রত্যাহারে আহ্বান জানান। নারী উন্নয়ন খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, বাজেটে নারী উন্নয়নে ৮০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা অপ্রতুল। এ বরাদ্দ ৩০০ কোটি টাকা করার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাজেটে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে এই ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে আয় হবে ৪ হাজার কোটি ডলার। এছাড়া ৬১টি আলাদা শিল্পাঞ্চল গড়ার যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়িত হলে এখান থেকে ৪ হাজার কোটি ডলার আয় হবে। যা বাংলাদেশি টাকায় হবে তিন লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এর আকার এবারের বাজেটের চেয়েও বেশি। আর এখানে কর্মসংস্থান হবে এক কোটি মানুষের। এই বাস্তবতা প্রমাণ করবে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠছে।
বিদেশি বিনিয়োগ না বাড়ার জন্য বিনিয়োগ বোর্ডকে দোষারোপ করে হানিফ বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট না করার দায়ভার বিনিয়োগ বোর্ডর ওপর বর্তায়। এজন্য বিনিয়োগ বোর্ডকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেন। এদিকে সরকারি বিনিয়োগ না বাড়লে বেসরকারি বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ জুন, ২০১৫/ রশিদা