নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে জহুরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি গরু ব্যাবসায়ী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার হাপানিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জহুরুল জেলার পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফে ছেলে।
বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মধ্যরাতে একদল বাংলাদেশি গরু ব্যাবসায়ী গরু আনতে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। সেখান থেকে গরু নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৫টার দিকে ২৩২ মেইন পিলার এলাকা দিয়ে ফেরার পথে জহুরুল ভারতের টেক্কাপাড়া বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে।
এ সময় বিএসএফ ওই গরু ব্যাবসায়ীকে উপুর্যপরি শারিরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে গুলি করে। বিএসএফের গুলি খেয়ে সে হামাগুড়ি দিয়ে কোন রকমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। সংবাদ পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজনরা সাথে সাথে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মুমুর্ষূ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় রাজশাহী পৌঁছার পূর্বেই রাস্তায় গরু ব্যাবসায়ী জহুরুল মারা যায়।
এ বিষয়ে সাপাহারের হাপানিয়া ক্যাম্প কমান্ডার নায়ক সুবেদার মোফাজ্জল হোসেন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত জহুরুল বিএসএফের ককটেলের আঘাতে প্রথমে আহত হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে নেয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।
এরআগে, গত ১১ জুন উপজেলার কলমুডাঙ্গা সীমান্তে শহিদুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যাবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ জুন, ২০১৫/মাহবুব