ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী শক্তি দমনে সরকার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়। যেসব দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভংগুর, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে কর্ত্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় সেসব দেশে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী শক্তিকে দমন করতে নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে বাংলাদেশে বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মী গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে। এমনকি সাংবাদিক দম্পতিকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্মূল করেছে, ফলশ্রুতিতে এখনও অনেক বিরোধী নেতাকর্মী নিখোঁজ রয়েছে। কারাগারে ৫০ হাজারের মতো বিরোধী নেতাকর্মী সমর্থক দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছে। এবং হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা কাঁধে বয়ে হাজার হাজার নেতা-কর্মী পালিয়ে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, দেশের ধর্মপ্রাণ আলেম ওলামারাও নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে বাদ পড়েননি। এমনি এরকম প্রেক্ষাপটে দেশে আইনের শাসন এখন অনুপস্থিত, মৌলিক-মানবাধিকারও ভুলুন্ঠিত।জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।
খালেদা জিয়া বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মানবিকবোধে উদ্বুদ্ধ বিশ্বের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসেই মানবতাবিরোধী শক্তির পরাজয় নিশ্চিত করা সম্ভব।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ জুন, ২০১৫/মাহবুব