মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীবাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) হাতে আপহৃত হওয়ার আট দিন পর দেশে ফেরা বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাককে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বিজিবির একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজ্জাক ঢাকার পথে রওনা হন। তাকে ঢাকার পিলখানায় বিজিবির নিজস্ব হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
টেকনাফের ৪২ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, মিয়ানমারের মংডুতে বিজিবি-বিজিপি পতাকা বৈঠকের পর রাজ্জাককে হস্তান্তর করা হয়। দেশে আনার পর রাজ্জাককে নিয়ে যাওয়া হয় বিজিবির টেকনাফ সদরদপ্তরে।
গাড়িতে ওঠার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি সুস্থ আছি।” তবে এসময় বিজিপি নির্যাতন করেছিল কি-না, সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে কোনো জবাব দেননি নায়েক রাজ্জাক। বিজিবির পক্ষ থেকেও কোনো বক্তব্য আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন ভোরে নায়েক আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বিজিবির ছয় সদস্যের একটি দল নাফ নদীতে টহল দিচ্ছিল। এ সময় তারা বাংলাদেশের জলসীমায় মাদক চোরাচালান সন্দেহে দুটি নৌকায় তল্লাশিকালে মিয়ানমারের রইগ্যাদং ক্যাম্পের বিজিপির সদস্যরা একটি ট্রলারে করে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে।
একপর্যায়ে বিজিপির সদস্যদের বহনকারী ট্রলারটি বিজিবির টহল নৌযানের কাছে এসে থামে। বিজিপির ট্রলারটিকে বাংলাদেশের জলসীমা ছেড়ে যেতে বলা হলে দু'পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়। এতে বিজিবির সিপাহি বিপ্লব কুমার গুলিবিদ্ধ হন এবং নায়েক রাজ্জাককে জোর করে ট্রলারে তুলে নিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জুন, ২০১৫/মাহবুব