দুই টাকার কয়েন/নোট এতদিন সরকারি মুদ্রা হিসেবে প্রচলিত ছিল। কিন্তু দুই টাকার ক্রয় ক্ষমতা আগের তুলনায় হ্রাস পাওয়ায় এখন থেকে পাঁচ টাকার মুদ্রা সরকারি মুদ্রা হবে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ কয়েনজ অর্ডার, ১৯৭২এ সংশোধনী এনে সংসদে ‘বাংলাদেশ কয়েনজ (এমেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৫’ বিল আজ রোববার পাস হয়েছে। এছাড়া সংসদে ‘উন্নয়ন সারসার্জ ও লেভী (আরোপ ও আদায়) আইন, ২০১৫’ বিলটিও পাস হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ রোববার সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। ৭জন সদস্য বিলটির ওপর কিছু সংশোধনী প্রস্তাবসহ জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব আনলেও সেগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাঁচ টাকার যে কয়েন বর্তমানে বাজারে রয়েছে সেটির আইনগত বৈধতা ছিল না। এই আইনের মধ্য দিয়ে সেই কয়েন বৈধতা পাবে। এছাড়া দুই টাকার মুদ্রাও বাজারে থাকবে।
বিলের উদ্দেশ্যে ও কারন সর্ম্পকিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালে দি বাংলাদেশ কয়েনজ অর্ডার দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৯৮৯ সালে সংশোধন করে ২ টাকাকে সরকারি মুদ্রা করা হয়। এর আগে সর্বোচ্চ এক টাকার মুদ্রা সরকারি মুদ্রা হিসেবে পরিচিত ছিল। ইতিমধ্যে ২৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। ২ টাকার ক্রয় ক্ষমতাও আগের তুলনায় হ্রাসপেয়েছে।
এ কারনে বর্তমানে আইনের অধিকতর সংশোধনের মাধ্যমে ৫ টাকার নোটকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দেশের মোট অর্থের যোগান অপরিবির্তত থাকবে। এ কারনে মুল্যস্ফীতিজনিত প্রভাব হবে না।
বিলে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৪-৭৫ সালে বাজারে প্রচলিত মোট অর্থের মধ্যে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে তা দশমিক নয় শুন্য শতাংশে নেমে এসেছে। ৫ টাকা মূল্যমানের নোট ও কয়েনগুলোকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তর করা হলে সরকারি মুদ্রার পরিমান বাজারে প্রচলিত মোট মুদ্রার ১ দশমিক ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে।
এছাড়া আজ রোববার সংসদে ‘উন্নয়ন সারসার্জ ও লেভী (আরোপ ও আদায়) আইন, ২০১৫’ নামে আরেকটি বিল পাস হয়েছে। অর্থমন্ত্রী মন্ত্রীর প্রস্তাবে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ