মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের দাফন নিজ নিজ গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রামের রাউজানে পারিবারিক কবরস্থানে সাকার দাফন সম্পন্ন হয়। আর সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে ফরিদপুরে মুজাহিদের বাড়ির পাশে অবস্থিত আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসা সংলগ্ন স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, রবিবার সকাল ৯টার দিকে সাকা চৌধুরী মরদেহ রাউজানে পৌঁছায়। এরপর সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মাজহার বিপ্লবের কাছ থেকে সাকার মরদেহ বুঝে নেন তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
দাফনের আগে তার জানাজা নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে গহিরা কলেজ মাঠে জানাজা আয়োজন করতে চায় স্থানীয়রা। তবে প্রশাসনের বাধায় তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে তার বাড়ির পাশেই জানাজার নামাজ পড়া হয়।
অন্যদিকে, মুজাহিদের লাশবাহী গাড়িটি ফরিদপুরে তার নিজ বাড়িতে পৌঁছায় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে। এরপর পশ্চিম খাবাসপুরস্থ মুজাহিদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা মাঠে সকাল ৭টায় জানাজার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মুজাহিদের বড় ভাই আলী আফজাল মোহাম্মদ খালেছ।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদকে তওবা পড়িয়ে জমটুপি পরানো হয়। এরপর স্বাভাবিকভাবেই তারা দু'জন হেঁটে ফাঁসির মঞ্চে যান। ১২টা ৫৫ মিনিটে একই মঞ্চে, একই সময়ে একই সঙ্গে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর প্রথমে মুজাহিদের ও পরে সালাউদ্দিনের লাশ নামানো হয়। এরপর তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে গোসল করানো হয়। কফিনে ভরে এ্যাম্বুলে্ন্সে করে রাত ২টা ৫০ মিনিটে নিজ নিজ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে লাশ পাঠানো হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২২ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব