একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মোট ৪ জন যুদ্ধাপরাধীকে এখন পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে প্রথমে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর তাকে ফাঁসির কার্যকর করা হয়। দ্বিতীয় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল জামায়াতের অপর সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অার চলতি বছরের ২২ নভেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এ দু'জনকে একই সময়ে ফাঁসি দেয়া হয়। এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করছেন জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর কারাগারে মারা গেছেন ৯০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম এবং বিএনপির সাবেক নেতা আবদুল আলীম। তিনি সাজারত অবস্থায় ২০১৪ সালের ৩০ আগস্ট মারা যান। তার আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছিল।
এদিকে, বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়া বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর। তারা হলেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী (ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসি), জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুস সুবহান (ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসি), জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম (ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসি), জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী (ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসি), সাবেক জাপা নেতা সৈয়দ মো. কায়সার (ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসি), বহিষ্কৃত আ.লীগ নেতা মোবারক হোসেন (ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসি), জাপার সাবেক সাংসদ আবদুল জব্বার (ট্রাইব্যুনালের রায় আমৃত্যু কারাদণ্ড) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজাকার মাহিদুর রহমান (ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসি)।
বিডি-প্রতিদিন/২২ নভেম্বর ২০১৫/শরীফ