রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওই যুবকের নাম মাসকাওয়াথ হাসান ওরফে সাকিব ওরফে আবদুল্লাহ। তার বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। সে জেএমবির সক্রিয় সদস্য। আজ বিকালে রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার আবদুল্লাহকে আটক করা হয়। জেএমবি সদস্য আবদুল্লাহ সরাসরি এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে বলে প্রথমে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। আজ বিকালে কড়া পুলিশ প্রহরায় তাকে রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে সে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে দুপুরে জেএমবি সদস্য মাসকাওয়াত হাসানকে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় আদালত চত্ত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অবস্থান নেয়। এ বিষয়ে এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি। স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবদুল্লাহকে বিচারকের খাস কামরা থেকে বের করা হয়। পরে তাকে পুলিশের হেলমেট পরিয়ে সাদা পোশাকে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা আদালতের হাজতখানায় নেন। পরে সেখান থেকে হজ্ব এজেন্সি ‘আত্ তাইয়ারা ট্রাভেলস্ ইন্টারন্যাশনাল’ লেখা স্টিকারযুক্ত একটি মাইক্রোতে (ঢাকা মেট্রো-চ-১৩-৬০৫৩) মাসকাওয়াত হাসানকে উঠিয়ে আদালত চত্ত্বর ত্যাগ করেন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ।
নগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম জানান, মাসকাওয়াত হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য আদালতে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার আগামীকাল (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহীর শালাবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে ১০০ গজ দূরে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেছেন শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ। পরে গোয়েন্দা পুলিশকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/ ১৬ মে, ২০১৬/ হিমেল-১৩