ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্যদিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘শারদীয় দুর্গাপূজা’। ইতোমধ্যে সারাদেশের সকল পূজামণ্ডপের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার দুর্গতিনাশিনী দশভুজা দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ঢাকের ঢোল, কাঁসর ঘণ্টা, শাঁখের ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে সারা দেশের পূজামণ্ডপ। বছর ঘুরে দেবীর আগমনিবার্তায় উৎসবের আমেজ এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। আর শুক্রবার মহাষষ্ঠী পূজা দিয়ে শুরু হবে পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে মর্তলোকে (পৃথিবী) আসবেন। আর দেবী স্বর্গালোকে বিদায় নেবেন ঘোটক (ঘোড়ায়) চড়ে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, এবার সারাদেশে ২৯ হাজার ৩৯৫টি স্থায়ী, অস্থায়ী মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩২৪টি বেশি। আর রাজধানী ঢাকায় পূজা অনুষ্ঠিত হবে ২২৯টি মণ্ডপে।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা সাজ-সজ্জার কাজ। উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে পুলিশ ও আনসার সদস্য। টহলে থাকবে র্যাব।
শুক্রবার সায়ংকালে দেবীর বোধন ও মহাষষ্ঠী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার নবপত্রিকা প্রবেশ, সপ্তমী ও মহাসপ্তমী বিহিত পূজা। রবিববার (৯ অক্টোবর) মহাষ্টমী। কুমারী পূজা, সন্ধিপূজা। সোমবার (১০ অক্টোবর) মহানবমী পূজা এবং মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দেবীর বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৬ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম