প্রবীণদের ইস্যুগুলোকে সংস্কারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। রবিবার রাজধানীর ধানমণ্ডির ড্যাফোডিল প্লাজায় ৭১ মিলনায়তনে দোয়া-মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বার্ধক্যে নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্বসহ বয়সজনিত বহুবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। সমাজের সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় এ জনগোষ্ঠী যেন শেষ বয়সে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে, সেজন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি জনহিতৈষী সংগঠন ও বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি।
ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকারিভাবে প্রবীণদের জন্য এখনও কোনো নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন হয়নি। তবে, এখন সময় এসেছে প্রবীণবান্ধব নীতি ও অবকাঠামো গড়ে তোলার। আধুনিক চিকিৎসার ব্যয় এখন অনেক বেশি, তাই প্রবীণদের সুরক্ষা ও যত্ন নেওয়া তরুণ প্রজন্মের সামাজিক দায়িত্ব।
বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি চিফ প্যাট্রোন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, প্রবীণবান্ধব সমাজ-কাঠামো বানানোর জন্য প্রয়োজন সরকারি পর্যায়ে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন, যা দেশের প্রচলিত প্রবীণ কাঠামো, নীতিমালা পর্যালোচনা করে সব অধিকার নিশ্চিত ও মর্যাদাপূর্ণ করবে। সবমিলিয়ে কল্যাণমুখী স্বস্তিময় জীবনের বিধান নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, প্রবীণদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। তারা যেন একাকিত্বে না ভোগেন। নৈতিক শিক্ষার জায়গাগুলোতে প্রবীণদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে, যাতে সমাজে তরুণ ও প্রবীণ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তের আলোকে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ১৯৯১ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত