মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল উন্মুক্ত এবং ১১টি ড্রেজার’এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গণভবনে এবং সচিব অশোক মাধব রায় ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক বাগেরহাট প্রান্তে উপস্থিত থাকবেন।
আজ বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মংলা-ঘোষিয়াখালী নৌ-পথের দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৬ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ড্রেজার দ্বারা ১৮১ দশমিক ৮০ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। ড্রেজিংকৃত অংশে পলি ভরাটের কারণে সংরক্ষণ খননের আওতায় সর্বমোট ৬২ দশমিক ১২ লাখ ঘনমিটার পুনঃখনন করা হয়েছে।
বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র ৩টি ড্রেজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৫টি ড্রেজার অর্থাৎ সর্বমোট ৮টি ড্রেজার সংরক্ষণ ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত রয়েছে বলে জানানো হয়।
জানা গেছে, নৌ-পথটি চালুর ফলে ৮১ কিলোমিটার দূরুত্ব কমেছে। এছাড়া মংলা-ঘষিয়াখালীর রমজানপুর এলাকায় একটি লুপকাট করায় আরোও ৫ কিলোমিটার দূরুত্ব হ্রাস পেয়ে মোট ৮৬ কিলোমিটার দূরত্ব হ্রাস পেয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নবনির্মিত ৮টিসহ মোট ১২টি ড্রেজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬টি ড্রেজার ২০১৪ সালের জুনে নিয়োগ করে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-পথটি পুনঃখনন শুরু করা হয়। নৌ-পথটি পুনঃখনন করার পর ২০১৫ সালের মে মাস হতে পরীক্ষামূলকভাবে খুলে দেয়া হয় এবং ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন গভীরতায় মোট ৩৫,০১৫টি জাহাজ এ নৌ-পথে চলাচল করেছে। নৌ-পথটি ১৩-১৪ ফুট গভীরতায় ও ২০০-৩০০ ফুট প্রশস্ততা বিশিষ্ট করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ২০১৩-১৪ সালের পূর্বে মাত্র ১০টি ড্রেজার দ্বারা সারাদেশের নাব্যতা সংরক্ষণ করা হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনাতে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন দু’টি প্রকল্পের অধীনে দেশীয় ড্রেজার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান, ভোস্তা এলএমজি-কর্ণফুলী জয়েন্ট ভেঞ্চার লিমিটেড এবং আনন্দ শিপইয়ার্ডস লিমিটেড কর্তৃক দ্বিতীয় দফায় মোট ১১টি ড্রেজার নির্মাণ করা হয়। বৃহস্পতিবার সেগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
এছাড়াও সরকারের বর্তমান মেয়াদে আরো ২০টি ড্রেজার নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৬ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম