বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৈশভোজে ইলিশ খাওয়াতে পারবেন না ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।
রবিবার রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনার জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে পা রাখতেই ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে রাঁধুনিদের। ৩২ জন রাঁধুনি রাষ্ট্রপতি ভবনের হেঁশেলে রাঁধছেন হাসিনার জন্য।
সূত্র মারফত জানা গেছে, ভেটকি পাতুরি, চিংড়ি মালাইকারি এবং চিতল মাছের মুইঠা পরিবেশন করা হবে মুজিব তনয়াকে। আইন করে ছোট ইলিশ ধরা বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। একই পথে হেঁটেছে পশ্চিমবঙ্গ। বর্ষা না আসায় গঙ্গায় দেখা মিলছে না বড় ইলিশের। সেই কারণেই দিল্লিতে এসে ইলিশ খাওয়া হল না হাসিনার।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মাঝে ইলিশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার সৌজন্যে দুই দেশের কূটনীতিতেও গুরুত্ব পেয়েছে ইলিশ। ১৯৯৬ গঙ্গার পানি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ইলিশ পাঠিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে ইলিশকে দুই দেশের কূটনীতির মাধ্যম হিসেবে ধরা হয়। ২০১০ সালে রেলমন্ত্রী মমতার জন্য ইলিশ পাঠিয়েছিলেন হাসিনা। ২০১৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফরের সময় তার সামনে ইলিশসহ পাঁচ রকমের মাছের পদ পরিবেশন করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে মমতা ব্যানার্জি দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে ২০ কেজি ইলিশ পাঠিয়েছিলেন শেখা হাসিনা। এই ভাবেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইলিশ।